রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সুরাট আদালতের নির্দেশ, পরবর্তীকে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের ঘটনায় নজর রাখছে আমেরিকা। এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত পাটেল। এদিন বেদান্ত পাটেল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা ভারতীয় আদালতে মিস্টার গান্ধীর (রাহুল গান্ধী) কেসটি নজরে রেখেছি।’
২০১৯ সালে মোদী পদবি নিয়ে রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্যের ভিত্তিতে মানহানির মামলা হয়। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার সুরাট আদালত রাহুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এরপরই শুক্রবার তাঁর সাংসদ পদ ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ। কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ পদ হারান রাহুল।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আমেরিকা, ভারত দুই দেশই দায়বদ্ধ। ভারতের ক্ষেত্রে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি জোর দিচ্ছি। দুই দেশেই গণতন্ত্র রক্ষায় যা জরুরি’। এরপরই বেদান্তের কাছে জানতে চাওয়া হয় রাহুল গান্ধীর ঘটনাকে সামনে রেখে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকা কি হস্তক্ষেপ করার কথা ভাবছে?
উত্তরে বেদান্ত পাটেল বলেন, নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে এরকম কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে এমন যে কোনও দেশের সরকার-বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেই থাকেন তাঁরা। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় বলেও মন্তব্য করেন বেদান্ত। তবে নির্দিষ্ট কোনও বিষয় নিয়ে যে কথা বলবেন না, বারবার সে কথাও তাঁর মুখে শোনা যায়।