ছেলেদের আইপিএলে সর্বাধিক খেতাব জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তাদের। এবার উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্রারম্ভিক সংস্করণেও চ্যাম্পিয়ন হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে জিতল মুম্বই। প্রথম বার মেয়েদের আইপিএল ট্রফিতে নিজেদের নাম লিখে দিলেন হরমনপ্রীতরা। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লীর অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু’টি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি। এদিন ল্যানিং ছাড়া দিল্লীর কোনও ব্যাটারই ক্রিজে দাঁড়াতে পারছিলেন না। ৩৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় দিল্লী। ইসি ওয়ং একাই তিন উইকেট তুলে চাপে ফেলে দেন তাঁদের। কিন্তু ল্যানিং লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ২৯ বলে ৩৫ রান করেন। তিনি যখন আউট হন তখন দিল্লীর স্কোর ৭৪/৫। এর পরেই দিল্লীর ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। হিলি ম্যাথুজ চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। দিল্লীর স্কোর হয়ে যায় ৭৯/৯। সেই সঙ্গে বেগুনি রঙের টুপিও নিশ্চিত করে ফেলেন ম্যাথুজ। এরপর ভারতের দুই বোলার শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব দিল্লীর শেষ উইকেটে তুললেন ৫২ রান। শিখা ১৭ বলে ২৭ রান করেন এবং রাধা ১২ বলে ২৭ রান করেন। ২০ ওভার দিল্লী তোলে ১৩১ রান।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের ব্যাটাররা কখনওই সেভাবে চাপে পড়েননি। ১৩২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩ রানে ২ উইকেট হারালেও হরমনপ্রীত এবং ন্যাট সিভার ব্রান্ট দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা ৭২ রানের জুটি গড়েন। হরমনপ্রীত ৩৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও সিভার শেষ পর্যন্ত ছিলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ বেলায় ৮ বলে ১৪ রান করে দলকে ট্রফি জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এমেলিয়া কের। দল না জিতলেও এই প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি রান এসেছে ল্যানিংয়ের ব্যাট থেকে। ৯ ম্যাচে ৩৪৫ রান করেছেন তিনি। কমলা টুপির মালিক তিনি। সব থেকে বেশি উইকেট নিয়ে বেগুনি টুপি জিতেছেন ম্যাথুজ। ১০ ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।