সিপিএম আমলে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে বাম নেতাদের পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। প্রথমেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, ‘ওঁর ইন্টারভিউ হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। তদন্ত হওয়া দরকার।’ এরপরে আরও একধাপ এগিয়ে প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘কোনও পরীক্ষা হত না। নাম কা ওয়াস্তে ইন্টারভিউ হত। সিপিএমের মতো ফরওয়ার্ড ব্লকও টাকার ভাগ পেত’। এবার তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে সেই দাবিকে আরও জোরদার করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা এবং বর্তমানে পিডিএস-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সমীর পুততুন্ড। সিপিআইএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাক্তন সম্পাদক জানিয়েছেন, বাম আমলে সরকারি চাকরির নিয়োগে ব্যপক স্বজনপোষণ হয়েছে। এমনকী শেষের দিকে অর্থের বদলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে।
জাগো বাংলার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘বাম আমলে সরকারি চাকরি, বিশেষত শিক্ষকতার চাকরিতে নিয়োগে ব্যাপক স্বজন-পোষণ হয়েছে। বাম আমলের শেষদিকে অর্থের বদলে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। সিপিএম জেলা সম্পাদক ছিলাম বলেই একথা জোর দিয়ে বলতে পারছি।‘ প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, ‘সেই সময়ে পার্টিতে সিদ্ধান্ত হয় সরকারি চাকরি শুধু পার্টি কর্মীরাই পাবেন না। পার্টি কর্মী মানেই যোগ্য এই ধারণা বদলাতে হবে। যোগ্যদেরই চাকরি দিতে হবে। আমার জেলায় সাড়ে তিন হাজার নিয়োগের তালিকা আসে। পার্টির সিদ্ধান্ত মেনে করতে গিয়ে কেঁচে গণ্ডুষ। দলে ব্যাপক ঝামেলা। সবাই চায় নিজের লোকেদের ঢোকাতে। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি, স্বজন-পোষণ আর চাকরির বদলে অর্থের দাবিদারদেরই জিত হয়। কোথায় নীতি-নৈতিকতা? ওসব পার্টি মিটিংয়েই শুরু, পার্টি মিটিংয়েই শেষ। ওই সাড়ে তিন হাজার নিয়োগে ছাড়পত্র আমরাই সকলে দিয়েছিলাম এটা জেনেই যে চাকরি পাচ্ছেন যোগ্যরা নয়, পার্টি কর্মীরা।‘ উল্লেখ্য, এর আগে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সমীরবাবু এ কথাও স্বীকার করেছেন, যে সুজন ভট্টাচার্যের স্ত্রী মিলিদেবীর চাকরির ব্যাপারে তাঁর সুপারিশ ছিল।
ল
