এর আগে একাধিক বার নিয়োগ মামলায় আদালতের ধমক শুনেছে সিবিআই। এবার ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার শুনানি ছিল আদালতে। সেখানে শান্তিপ্রসাদকে আরও একবার হেফাজতে চেয়ে আদালতে সিবিআই আর্জি জানালে বিচারক কিছুটা অসন্তোষের সুরেই জানতে চেয়েছেন, ‘সেই একই টেপ রেকর্ডার বাজাচ্ছেন! জামিন পেলে ওরা কি নাচবে?’ আদালতের এই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেনি সিবিআই।
নিয়োগ মামলা অভিযুক্তরা এর আগে যত বারই আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন, সিবিআই তার বিরোধিতা করেছে। প্রত্যেক শুনানিতেই নতুন করে তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। সোমবার সত্তরোর্ধ্ব শান্তিপ্রসাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। শান্তিপ্রসাদকে নতুন করে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই হেফাজতে ২৫৯ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন শান্তিপ্রসাদ। যদি নতুন করে তাঁকে হেফাজতেই নেওয়ার প্রয়োজন থেকে থাকে, তবে সে কথা গত ২৫৯ দিনে কেন মনে পড়েনি সিবিআইয়ের।
আইনজীবী এই প্রশ্ন করার পরে বিচারকও সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রশ্নটির জবাব দিতে। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বা আইনজীবী এর স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি। কিছুটা ঘুরপথে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘ওঁদের জামিন দিলে সমাজ তা মেনে নেবে না। সমাজের মানুষকে নৈতিক ভাবে উদ্বুদ্ধ করতেই ওঁদের হেফাজতে নেওয়া দরকার।’ তার পরেই বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, সিবিআই কেন একই কথা টেপ রেকর্ডারের মতো বার বার বলে চলেছে? অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হলে কী হতে পারে বলে আশঙ্কা সিবিআইয়ের? তারা কী নাচবেন?