আগামী ২৯ মার্চ কলকাতায় শহিদ মিনারের পাদদেশে তৃণমূলের ছাত্র-যুবর যৌথ সভা। যেখানে প্রধান বক্তা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার প্রস্তুতিতে রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই সভা মঞ্চ থেকেই যুব তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বললেন, যুবরাই দলের সম্পদ। যুবরাই পারেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে। যুবরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে পারে। আমাদের যুবরা চোখে চোখ রেখে কথা বললে সিপিএম-বিজেপি রাস্তায় নামার সাহস পাবে না।
একইসঙ্গে সভা থেকে যুবদের তিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন যে, ‘পঞ্চায়েত টিকিট পাব, প্রধান হব, সদস্য হব সেই স্বপ্ন দেখবেন না। দলের জন্য কাজ করুন। কারা টিকিট পাবে তা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের যুব আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন।’ ইডি-সিবিআই বিজেপির শাখা সংগঠন হিসেবে সারা দেশে বিরোধী রাজ্যগুলিতে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্বপনবাবু।
মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে দিচ্ছে। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে যুবদের সোচ্চার হতে হবে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বলতে। ইডি-সিবিআই শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, সারা দেশে বিরোধীদল শাসিত রাজ্যে বিজেপির শাখা সংগঠন হিসেবে কজ করছে। কেউ অন্যায় করলে, দোষ করলে ইডি-সিবিআই ধরুক তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপির শাখা সংগঠনের মতো বেছে বেছে বিরোধীদের নিশানা করাতে আপত্তি আছে।’
সভা থেকে বিজেপি, সিপিএম-কংগ্রেসের গোপন আঁতাঁত নিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামে ঘুরি তাই জানতে পারছি সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি হাত মিলিয়েছে। এক জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দেবে। অন্যত্র সিপিএম প্রার্থী দেবে। আবার কোথাও ড্যামি প্রার্থী দিয়ে তলায় তলায় সমর্থন জানাবে। এই নিয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার নিদানে যুবদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি চলছে। যুব আইকন অভিষেকবাবু কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছেন। সেই পথে গ্রামের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’