গত বৃহস্পতিবার সুরাতের আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। আর শাস্তি হওয়ার পরই ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে সাংসদ পদ খুইয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। আম আদমি পার্টি, বিআরএস সহ একাধিক দলও রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরব হয়েছে তৃণমূলও। রাহুল ইস্যুতে ফের কাছাকাছি এসেছে এই দুই দল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীর ইস্যুতে গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে সোমবার থেকে তৃণমূল তিন দফা কর্মসূচি নিয়ে এগবে। তাদের বক্তব্য, গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবিতে দল সহমত। মল্লিকার্জুন খাড়গের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর সকাল সাড়ে দশটায় সংসদের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডাকেন দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মুখে কালো কাপড় বেঁধে সংসদ পরিক্রমা করবেন তৃণমূলের সাংসদরা। সূত্রের খবর, একই সময় কংগ্রেস সাংসদদেরও একই কর্মসূচি রয়েছে। ফলে সংসদের করিডোরে দুই কংগ্রেসকে অনেকদিন পর এক সঙ্গে দেখা যাবে।
তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক মহল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। আদানি ইস্যুতে একলা চলো নীতি নিয়ে খাড়গের ডাকা বৈঠক তৃণমূল এড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ঘোষণার পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ইস্যুভিত্তিক বোঝাপড়ার কৌশল হিসাবেই গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাকে জোড়া ফুল শিবির আছে। গত শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।