আদালতে গিয়েও রেহাই মেলেনি। শনিবার তাই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। শনিবারই আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন আরজেডি সাংসদ মিসা ভারতী।
জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি দেওয়ার মামলায় তেজস্বী, মিসাদের নিয়ে লালুপ্রসাদের পরিবারের সাতজনকে নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুটি। এই মামলায় বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ ও রাবড়ি দেবী ছাড়াও এই দম্পতির নয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে ইডি-সিবিআই। যা এককথায় নজিরবিহীন। পাঁচ সন্তানের মধ্যে তাঁদের চার বিবাহিত কন্যাও আছেন।
সিবিআই এর আগে তেজস্বীকে তিনবার নোটিস পাঠিয়ে তলব করেছিল। তিনি যাননি। শেষে এ মাসের গোড়ায় দিল্লির সিবিআই আদালতের কাছে তেজস্বী হলফনামা দিয়ে জানান, ২৫ মার্চ দেখা করবেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকাকালে রেলে জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার চক্রে তেজস্বীও যুক্ত। তার নামেও বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীর ছবি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
একই মামলায় গতমাসে দিল্লিতে লালুপ্রসাদের বড় মেয়ে মিসার দিল্লির বাসভবনে তল্লাশি চালায় ইডি। লালুপ্রসাদ এখন দিল্লিতে মেয়ের কাছেই আছেন। সেই তল্লাশির পরিপ্রেক্ষিতে মিসাকে তলব করেছে ইডি। গতমাসের তল্লাশি চালানো হয় লালুপ্রসাদের আরও তিন বিবাহিত কন্যা রাগিনী, চন্দা এবং হেমার শ্বশুর বাড়িতেও। ইডি, সিবিআইয়ের দাবি, তিন মেয়ের নামেও জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।