গতকালই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের কলেজে চাকরির জয়েনিং লেটার ফাঁস করে দিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল, সুজনবাবুর স্ত্রীর চাকরি কি পরীক্ষা দিয়ে হয়েছিল? আর আজ, শুক্রবার পৃথকভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অন্য কৌশলে সিপিএমকে বার্তা দিতে চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘আমি সিপিএমের বাড়ির লোকজনকে বলব, এলিট নেতা বা স্বামীদের বলুন, তাঁরা যেন কাচের ঘরে বসে ঢিল না ছোঁড়েন।’
শিক্ষামন্ত্রী এ-ও বলেন, সিপিএম জমানায় কোন নেতার কোন আত্মীয় কোথায় কীভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নিয়ে তৃণমূল ১২ বছরে একটাও কথা বলেনি। কিন্তু সিপিএম যা শুরু করেছে তাতে এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারে তৃণমূলকে প্ররোচিত করা হচ্ছে। ব্রাত্যর কথায়, সিপিএমের এখন যাঁরা ভোকাল, তাঁদের পরিবারের কে কী চাকরি করেন সেই তালিকাও ক্রমে প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রী জানিয়ছেন, সুজনবাবুর স্ত্রী যে কলেজে চাকরি করেন সেটা তাঁর জানা ছিল না। গতকালই তিনি জেনেছেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চেয়ে কুণাল ঘোষ ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক তাঁকে চিঠি দিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই তিনি কিছু নথি জোগাড় করেছেন।
