রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিল নবান্ন। সামনেই বর্ষাকাল। তবে এর মধ্যেই বৃষ্টিতে ভিজেছে বাংলা। চিকিৎসকদের কথায়, এই অল্প বৃষ্টিতে জমা জলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে। গতবছর ডেঙ্গি সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল রাজ্যে। তাই এখন থেকেই প্রতিরোধের পথ খুঁজছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বৈঠক করেন বিভিন্ন দফতরের সচিব, জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানেই একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা আলোচনা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮১৫ কোটি টাকা। এদিনের বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে, তা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে :
শহর ও গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষকে নিয়োগ করা হয়েছে শহর ও গ্রামাঞ্চলে। তাঁরাই ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিস্থিতি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়েছে এই কাজ। চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য ১৫ জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছে. ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য আগের তুলনায় আরও ৬০টি সরকারি ও পুরসভা হাসপাতালে সেন্টার খোলার কথা বলা হয়েছে। মোট ১৫০০ কিলোমিটার খালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে সেই খাল সপ্তাহে অন্তত দু’বার পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ কারখানা চত্বর থেকে শুরু করে সরকারি অফিস, বাসস্ট্যান্ড, খালি জমি ইত্যাদি জায়গা যেখানে ডেঙ্গি মশার উপদ্রব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেইসব জায়গা ভালভাবে পরীক্ষা এবং নজর রাখতে হবে।
পাশাপাশি, স্কুল, পুলিশ সহ সবাইকে সচেতনতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৮ হাজার ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। আশাকর্মী, অঙ্গনওয়ারি কর্মী থেকে শুরু করে পুরসভার ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদেরও এলাকায় সচেতন বাড়াতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গি সচেতন সপ্তাহ অর্থাৎ ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হবে। এছাড়াও এদিনের বৈঠকে আলোচিত আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা।