ফের ভয়ঙ্কর নৃশংসতার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশ। বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে বিগত দিনেও বারবার সংশয়ের মুখে পড়েছে নারীসুরক্ষা ও নিরাপত্তা। হাথরস ও উন্নাওয়ের ঘটনার ভয়াবহতার রেশ এখনও তরতাজা দেশবাসীর মনে। এবার সেই যোগীরাজ্যেই এবার দাদুর উদগ্র লালসার শিকার হল ১৫ বছরের নাতনি। কাঠ কাটার আছিলায় মাঠে নিয়ে গিয়ে নাবালিকা নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৬০ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুখ বন্ধ রাখতে নাতনিকে ১০ টাকা ‘ঘুষ’ও দেন। মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন পুত্রবধূ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলায় এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার সন্ধেবেলা। নাবালিকা ও তার মা মাঠে ছাগল চড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ সেখানে হঠাৎই হাজির হন বৃদ্ধ। তিনি পুত্রবধূকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। নাতনিকে কাঠ কাটার জন্য কুঠার নিয়ে নির্জন জায়গায় আসতে বলেন।
এরপর নাতনি কুঠার হাতে দাদুর কাছে পৌঁছালে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য নাতনিকে ১০ টাকা ‘ঘুষ’ও দেন বৃদ্ধ। গ্রামের এক বাসিন্দার চোখে পড়ে যায় ঘটনাটি। তিনি বাকিদের খবর দিলে বৃদ্ধকে হাতেনাতে ধরা হয়। গ্রামবাসীরা বৃদ্ধকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে নাবালিকার মা গোরক্ষপুরের গুলরিহা থানায় শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বৃদ্ধকে। নাবালিকাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটি ঘিরে তুঙ্গে পৌঁছেছে শোরগোল। যোগী প্রশাসনের নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।