সীমান্তে ১২টি এলাকা নিয়ে আসাম এবং মেঘালয়ের মধ্যে বিবাদ ছিল। সেই সীমান্ত বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে দুই রাজ্যই। গত বছরই ৬টি জায়গায় বিবাদ মিটিয়ে ফেলা হয়। বাকি ৬টি জায়গার বিবাদ মিটিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে এবার মুখরো নিয়ে আসামের সঙ্গে নতুন করে বিবাদ বাঁধতে চলেছে মেঘালয়ের। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন, দুই রাজ্যের সীমানায় অবস্থিত মুখরো আসামের অংশ। বিধানসভায় একটি প্রশ্নের জবাবে লিখিতভাবে এই কথা জানান তিনি। তারপরেই আসরে নামে মেঘালয়। তাদের দাবি, মুখরো তাদের রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগেও মুখরো তাঁদের রাজ্যের ছিল, আগামীদিনেও থাকবে বলে জানিয়েছেন মেঘলায়ের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রিস্টন তাইসং।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ নভেম্বর উত্তপ্ত হয় মুখরো। সেখানে গুলি চালানো হলে ৫ জন গ্রামবাসী সহ ছজনের মৃত্যু হয়। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে আসাম পুলিশের বিরুদ্ধে। মৃতরা সবাই মুখরো গ্রামের বাসিন্দা। এই নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজনীতি। ওই সংঘর্ষ হয় খেরনি জঙ্গল এলাকায়। দুই রাজ্যই ওই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করছে। এদিকে, সোমবার মুখরোর অবস্থান নিয়ে আসাম বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক বৈদ্যসিং এংলেং। তাঁর প্রশ্নের জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিমন্ত জানান, মুখরো আসামের অংশ। যে অংশ নিয়ে বিবাদ সেটি আসামের পশ্চিম কার্বি আলং জেলার এলাকায়। তা মেঘালয়কে সরকারিভাবে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এই কথায় বিস্মিত মেঘালয়ের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রিস্টন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আসামের মুখ্যমন্ত্রী কেন এই কথা বলেছেন। মুখরো মেঘালয়ের এলাকায়। আমাদের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। মেঘালয় রাজ্যের সীমানার মধ্যেই আছে ওই গ্রাম।’ হিমন্তের দাবিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।অন্যদিকে, আসামের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য এবং দাবির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে ইস্ট জয়ন্তিয়া ন্যাশনাল কাউন্সিল (ইজেএনসি)। মঙ্গলবার ওই দাবির প্রতিবাদে শিলং-এ ডেপুটি কমিশনারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পোড়ানো হয় আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল। তাদের দাবি, আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য দুই রাজ্যের সম্পর্ক খারাপ করবে।