দিল্লীর নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে তেজস্বী যাদবের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবার তা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ নগদ ও সোনা উদ্ধারের দাবি উড়িয়ে তাঁর দাবি, ইডি হানায় কিছুই পাওয়া যায়নি। ৩০ মিনিটেই ইডির তল্লাশি শেষ হয়ে যায়। বরং অতিথি আপ্যায়ণ করে তাঁদের খাবার খেতে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের যে দলটি তল্লাশি চালিয়েছে, তারা দাবি করেছে বিপুল পরিমাণ নগদ ও সোনা উদ্ধারের। তবে এ নিয়ে তেজস্বীর হুঁশিয়ারি, সাহস থাকলে সিজার লিস্ট প্রকাশ করুক ইডি।
লালু-পুত্রের দাবি, ৩০ মিনিটেই সেই তল্লাশি শেষ হয়ে যায়। তল্লাশিতে কিছু-ই পায়নি ইডি। বরং উলটে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইডি আধিকারিকদের চা ও খাবার সহযোগে অতিথি আপ্যায়ণ করেন। পাটনায় ফিরে তেজস্বী বলেন, ‘আমরা ইডি আধিকারিকদের আপ্যায়ণের কোনও সুযোগ ছাড়িনি। আমরা ওদের চা দিই, ব্রেকফাস্ট দিই। সঙ্গে দুপুরের খাবারও।’ তাঁর আরও দাবি, আধঘণ্টাতেই ইডি আধিকারিকদের তল্লাশি অভিযান শেষ হয়ে যায়। তল্লাশি শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে, তারপর তাঁদের যখন চলে যেতে বলা হয়, তখন তাঁরা বলেন যে, ওপরমহলের নির্দেশ আছে তাঁদের বাড়িতে বেশিক্ষণ থাকার জন্য। যাতে সারাদিন সংবাদমাধ্যমে এই ইডি হানার খবর দেখানো হয়!
এই পুরো ঘটনাটিই বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে তোপ দেগেছেন তেজস্বী। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির সব মানুষ মিথ্যে, ভুয়ো। একমাত্র আমরাই সত্যিকারের সমাজবাদী নেতা। আমরা ওদের মিথ্যেকে ভয় পাই না। পুর্নিয়াতে মিছিলের পর বিজেপি নেতৃত্ব ভয় পেয়েছে। তাই নজর ঘোরাতেই ওরা এসব করছে। কিন্তু ওদের চেষ্টা সফল হবে না।’ তেজস্বীর আরও কটাক্ষ, ‘২০১৭ সালে ওরা ৮০০০ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা বলেছিল। এখন ওরা ৬০০ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা বলছে। আগে ওই ৮০০০ কোটি টাকা উদ্ধারের খুঁটিনাটি জানাক। কোথায় গেল সেই ৮০০০ কোটি? কোনও প্রমাণ নেই তাদের কাছে। ওরা শুধু গালভরা গপ্পো বানাতে পারে। আসলে বিহারের ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে দেওয়ার পর বিজেপি নেতারা অস্বস্তিবোধ করছেন।’