উত্তরপ্রদেশে আবারও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মেলা থেকে বাড়ি ফেরার সময় এক কিশোরী এবং তার খুড়তুতো বোনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৮ জন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। কিশোরীদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও দুজনের খোঁজ চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার হুসাইনগঞ্জ এলাকায় বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ।
ফতেহপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং বলেছেন, দুই কিশোরী দুই ভাইয়ের সঙ্গে করে একটি মেলা থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে কাটরি রোডে ৪ ভাইবোনকে অভিযুক্তরা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দুই ভাইকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দুই বোনকে গণধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দুই কিশোরী এবং দুই ভাইয়ের সঙ্গে রাত আড়াইটা নাগাদ বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যের সমস্ত ঘটনা জানায়। পরে পরিবারের তরফে পুলিশ হেল্পলাইনের ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়।
নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশকে জানায়, ‘অভিযুক্তরা মেলা চলাকালীন অন্য মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাড়ি ফেরার পথে তারা আমাদের অনুসরণ করছিল এবং পরে একা পেয়ে আমাদের একটি মাঠে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাদের গলা টিপে ধরে যাতে আমরা চিৎকার করতে না পারি এবং আমাদের ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা কিশোরীদের চিকিৎসার জন্য একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফতেহপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং সোমবার ভোররাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন যে কিশোরীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ধর্ষণ, হামলা, ভয় দেখানোর অভিযোগে এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।