স্বস্তি ফিরল ব্যাটারদের মনে! পিচ বদলাতেই খেলার ছবিতেও এল পরিবর্তন। ধৈর্য ধরে ব্যাটারের ভুলের অপেক্ষা করলেন বোলাররা। অন্য দিকে ব্যাটারদেরও পরীক্ষা ছিল উইকেটে পড়ে থাকার। আহমেদাবাদে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্টে দেখা গেল এ সব কিছুই। দিনের শেষে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় অস্ট্রেলিয়া। সৌজন্যে উসমান খোয়াজা। দুরন্ত শতরান করলেন তিনি। প্রথম দিনের শেষে ৪ উইকেটে ২৫৫ রান তুলেছে অজিরা। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন স্মিথ। রোহিত জানান, তিনি জিতলেও সেটাই করতেন। কারণ, তাঁর মনে হয়েছে এই পিচে ব্যাট করা অপেক্ষাকৃত ভাবে অনেক সহজ। বাস্তবেও সেটা দেখা গেল। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ৬১ রানের জুটি বাঁধলেন। তাতে অবশ্য অবদান ভারতের উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতেরও। ৩ রানের মাথায় ট্রাভিস হেডের ক্যাচ ছাড়েন তিনি। সেই হেড করলেন ৩২ রান। দেখে মনে হচ্ছিল, দুই ওপেনারই অর্ধশতরান করবেন। কিন্তু ৩২ রানের মাথায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন হেড। রান পাননি মার্নাশ লাবুশেন। ৩ রানের মাথায় তাঁকে বোল্ড করেন মহম্মদ শামি।
এরপর খোয়াজার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক স্মিথ। সহজেই ভারতীয় বোলারদের খেলছিলেন তাঁরা। কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। জুটি ভাঙার সব রকম চেষ্টা করেন রোহিত। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ ও চা বিরতির মধ্যে কোনও উইকেট পড়েনি। তার মধ্যেই নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন খোয়াজা। চা বিরতির পরে জাদেজার বলে বোল্ড হন স্মিথ। ৩৮ রান করেন তিনি। পিটার হ্যান্ডসকম্বকে ফেরান উমেশ যাদব। রানের গতি কিছুটা কমে যায়। খোয়াজা অবশ্য নিজের ছন্দেই খেলছিলেন। তাঁকে বিশেষ সমস্যায় ফেলতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। ধীরে ধীরে নিজের শতরানের দিতে এগোচ্ছিলেন খোয়াজা। ভারত দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি বাড়ে। সারা দিন বল করার পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় পেসাররা। ফলে হাত খুলে খেলা শুরু করেন ক্যামেরন গ্রিন। দ্রুত রান করছিলেন তিনি। দিনের শেষ ওভারে নিজের শতরান পূর্ণ করলেন খোয়াজা। ২৪৬ বল খেলে শতরান করলেন তিনি। ভারতে টেস্টে এটি তাঁর প্রথম শতরান। দিনের শেষে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। অন্য দিকে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকলেন ক্যামেরন গ্রিন।
