যতদিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে শহুরে বাবা-মায়েদের মধ্যে ছেলে-মেয়েকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ানোর প্রবণতা। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শহর এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা। আর তার জেরেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে শহুরে এলাকায় সরকারি বা সরকার পোষিত বাংলা মাধ্যম স্কুলে ক্রমশ কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। কিন্তু সেখানেই শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশ বেশি থেকে যাচ্ছে। আবার গ্রামের স্কুলগুলিতে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়া কমে যাচ্ছে পর্যাপ্ত শিক্ষিক-শিক্ষিকা না থাকায়। এবার এই সমস্যার সমাধানে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য। শহরাঞ্চলের যেসব স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা নগণ্য, সেখানকার শিক্ষকদের গ্রামে বদলি আবশ্যিক করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
জানা গিয়েছে, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে সাধারণ বদলি বা তার আগে বিশেষ বদলির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকা ছেড়ে শহরের স্কুলগুলিতে ভিড় জমিয়েছিলেন এক শ্রেণির শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকদের একটা বড় অংশের দাবি, ব্যক্তিগত সমস্যার চেয়েও শহরের স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবনযাত্রার টানেই বদলিগুলি নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করে তাঁদের ফের গ্রামমুখী করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। ওই সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে সব শহরাঞ্চলে থাকেন তার আশপাশের পঞ্চায়েত এলাকার স্কুলেই আগে তাঁদের বদলি দেওয়ার চেষ্টা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের কোনও ওজর-আপত্তি যে বরদাস্ত করা হবে না, তা নিশ্চিত করছেন আধিকারিকরা। আপাতত উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলির জন্য এই নিয়ম আনা হলেও পরবর্তী কালে প্রাথমিকের জন্যও এই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
