আজ ৮ই মে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বুধবার, এই দিনে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় হোলি উৎসব পালন করল সর্বভারতীয় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। মহিলা সংগঠনের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এদিন ধর্মতলায় নারী দিবসের পাশাপাশি দোল উৎসবও পালন করেন তারা। মেতে ওঠেন মহিলা কর্মী সমর্থক থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়, স্মিতা বক্সী-সহ একাধিক মহিলা কাউন্সিলর সহ মহিলা কর্মীরা। উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতা মহিলা কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে এদিন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ ধর্মতলায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, নারী দিবসের উপলক্ষে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সদস্যরা ৩৬ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে প্রত্যেকটি জেলায় ৩০০ করে বাড়িতে যাবেন মহিলা সদস্যরা। ১০ হাজার বাড়িতে যাওয়ার কথা হলেও এই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানালেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী।
পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “অনুব্রত মণ্ডল একটা বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাতে দলের অসুবিধা কি? এখনও সত্য উদঘাটিত হয়নি। যখন হবে, তখন দেখা যাবে।” পাশাপাশি ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার শপথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতি ,ভোট পরবর্তী হিংসা কে সামনে রেখে বাম কংগ্রেসের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করার বিষয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “সবাই বয়কট করবে। এক মানিকের হয়ে গেছে, আর এক মানিকের হয়ে যাবে।” অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “দল সব সময় সমস্ত কর্মীদের পাশেই থাকে বলে জানান তিনি। ভাঙ্গরে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে পুলিশের যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার সেটা করবে।” দিলীপ ঘোষের অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লী নিয়ে যাওয়ার পর লাড্ডু খাওয়ানো বিষয়ে কটাক্ষ করে পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “উনি তো অনেক কিছুই বলছেন ওনার ও অনেক কিছু আছে। উনি ও কবে লাড্ডু খাবেন ,লস্যি খেতে কোথায় যাবেন। এই সব বলার কোনো মানে হয়না। মানুষ কে শ্রদ্ধা করতে শিখুন দিলীপ বাবু। অনুব্রত মণ্ডল অভিযুক্ত । এখনও দোষ প্রমাণিত হয়নি। এখন অভিযুক্ত মানুষকে নিয়ে এইসব কথা বলায় কোনো গৌরব নেই।” তিনি বলেন, “দিলীপ বাবুর কপালে দুঃখ আছে। এই কথা বলতে পারি।” গর্ভের মধ্যে সন্তান ধর্ম শিখানো বিষয় নিয়ে আর এস এস কর্মসূচী নিয়ে এদিন মুখ খোলেন তিনি। “এর মধ্যে কোথায় বিজ্ঞান আছে আমার জানা নেই। আমরা সমস্ত ধর্ম কে শ্রদ্ধা করি। গর্ভের মধ্যে হিন্দুত্বের শিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন আমরা গর্ভ ধারণ করি যারা বলছে তারা নয়। সমস্ত ধর্মকে নিয়ে চলা হল সনাতন ধর্মের শিক্ষা। যারা ধর্মের মুখোশ পড়ে এই সব কথা বলছেন যারা সনাতন ধর্মকে গর্ভ অবস্থায় পৌঁছে দেবেন এটা হস্যকার। দিলীপ বাবু কী করে এটা বুঝবেন? তিনি তো গর্ভধারণ তো করতে পারবেন না”, কটাক্ষ করে বলেন তিনি।