অনন্য নজির গড়ল বি আর সিং হাসপাতাল। এককথায় অসাধ্য সাধন করলেন চিকিৎসকরা। পেসমেকার বসানো হল ৯০ বছরের এক রোগীর শরীরে। যে কোনও বয়সের ক্ষেত্রেই পেসমেকার বসানো যথেষ্ট শক্ত। সেক্ষেত্রে ৯০ বছর বয়সের কোনও মানুষের হার্টে পেসমেকার বসিয়ে সেটাকে স্থিতিশীল করা যে খুবই কঠিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রচণ্ড বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর ৯০ এর ওই প্রবীণ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভর্তি হওয়ার সময় ওই রোগীর হার্ট রেট খুবই কম ছিল যা কিনা চিন্তায় ফেলেছিল চিকিৎসকদের। তাছাড়াও সম্পূর্ণ ভাবে হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ফলে, প্রাণহানির বড় আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগ যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওই রোগী। শরীরে প্লেটেলটের সংখ্যাও ছিল কম। এই সমস্ত সমস্যা সত্ত্বেও পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। স্টেবিলাইজ করার পর ওই রোগীর শরীরে পেসমেকার বসানোর কাজ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, বি আর সিং হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্টরা মাত্র ২০ মিনিটেই সফল ভাবে ওই রোগীর শরীরে পেসমেকার বসান। তবে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওই রোগীকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। পূর্ব ভারতে বয়স্ক রোগীদের শরীরে পেসমেকার বসানোর ক্ষেত্রে এই অপারেশন অন্যতম বলে জানিয়েছে বি আর সিং কর্তৃপক্ষ। এত বয়সে পেসমেকার বসানো উদ্বেগের। তার মধ্যে এই রোগীর স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়েছে। মূলত স্থায়ী পেসমেকার তাঁদেরই বসানো হয়, যাঁদের হৃদপিণ্ডের গতির স্থায়ী সমস্যা রয়েছে। হৃদপিণ্ডের শ্লথ গতির জন্য যে সমস্যাগুলি হয়, যেমন ক্লান্তি, হার্ট ফেলিওর, বারবার চোখে অন্ধকার দেখা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রোগীকে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে পেসমেকার বসানোর পর মেনে চলতে হয় বেশ কিছু সাবধানতা।