ফের কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যান্য অবিজেপি-অকংগ্রেসি দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। ফের বিস্ফোরক তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, নিজেদের দ্বিচারিতার জন্য বিজেপি বিরোধিতায় গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে হাত-শিবির। শনিবার কুণালবাবু টুইট করে বলেন, “কংগ্রেস নিজেরা বিজেপিকে ঠেকাতে পারে না। তৃণমূল সেটা পারে।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কংগ্রেস এখন অকংগ্রেসি, অবিজেপি দলগুলির ক্ষতি চাইছে। বিজেপির সাহায্যও নিচ্ছে তারা। বাংলাতেও সম্প্রতি কংগ্রেসের যা ভূমিকা, তাতে এরা দিল্লীতে বিজেপি বিরোধিতার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে”, কটাক্ষ তাঁর। বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সন্দেহপ্রকাশ করে আসছে তৃণমূল। সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের পর সেটা আরও বেড়েছে। এ রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, সাগরদিঘিতে সরাসরি বিজেপির সঙ্গে অনৈতিক জোট করে জিতেছে হাত শিবির।
উল্লেখ্য, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, যেভাবে বাংলায় অধীর চৌধুরীরা বিজেপির সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলছেন, তাতে বিজেপি বিরোধিতায় বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে কংগ্রেস। কুণালের টুইটে সেই সুরই শোনা গেল। উল্লেখ্য, আজ মমতা-সহ ৯ জন প্রথম সারির বিজেপি বিরোধী নেতানেত্রী একযোগে, এক ছাতার তলায় এসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। দেখা যাচ্ছে বিজেপি বিরোধী অধিকাংশ বড় নেতাই মোদীকে লেখা চিঠিতে সই করেছেন। তাতে নাম রয়েছে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহদের। অথচ কংগ্রেস এই উদ্যোগে শামিল হয়নি। বিজেপি বিরোধী নেতাদের এই জোটে কংগ্রেসের অনুপস্থিতি ও কুণালের এই টুইটকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।