ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। পূরণ হয়নি বহু প্রতিশ্রুতি। এবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকরাও আন্দোলনের পথে হাঁটছেন। বাকি তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, চা বাগানের উন্নয়নে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও কোনও উন্নয়ন হয়নি, এমনই একাধিক অভিযোগ তুলে শনিবার দিনভর উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন চা শ্রমিকরা। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কদের বাড়ির সামনে এই অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচী নিয়েছেন চা বলয়ের শ্রমিকরা। শনিবার ফাঁসিদেওয়া, মাদারিহাট, কালচিনি, নকশালবাড়ি-মাটিগাড়ার বিজেপি বিধায়কদের বাসভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামার বাড়ির সামনেও বিশাল জমায়েত হয় চা শ্রমিকদের। কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাঁওয়ের বাড়ির সামনেও একই পরিস্থিতি। সকলের হাতে হোর্ডিং, প্ল্যাকার্ড। তাতে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা। দিনভর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র তত্ত্বাবধানে চলে অবস্থান বিক্ষোভ।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের তরফে এই কর্মসূচী পূর্বপরিকল্পিতই ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কর্মসূচীর কথা জানানো হয়। তাতেও উল্লেখ করা ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা। বকেয়া পিএফ, স্কলারশিপ, ৬০ বছরে অবসর, চা বাগানের অনুন্নয়নের মতো গুরুতর বিষয়ের বিরোধিতাতেই তাঁদের এই আন্দোলন। প্রসঙ্গত, চা বাগানগুলি কেন্দ্রের অধীনস্ত। রুগ্ন বাগানগুলির অবস্থা ফেরানো কিংবা চা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার মতো বহু প্রতিশ্রুতিই ভোটের আগে দিয়েছিলেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি বিজেপির হওয়া সত্ত্বেও ফেরেনি সুসময়। আর দিনের পর দিন অপেক্ষার পর শ্রমিকদের ক্ষতয় প্রলেপ না পড়ায় এবার জোরদার আন্দোলন শুরু করেছেন শ্রমিকরা। তাঁদের পুরোপুরি সমর্থন করছে শাসকদল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।