ফের বড়সড় বিপাকে পড়ল পদ্মশিবির। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচারের জেরে হাজতে ঢুকতে হল যোগীরাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র প্রশান্ত উমরাওকে। সম্প্রতি, তামিলনাড়ুতে লাগাতার বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের হত্যা করা হচ্ছে বলে একটি টুইট করা হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। অশান্তি ছড়ানোর আগেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। আশ্বস্ত করেন, তামিলনাড়ুতে সুরক্ষিত বিহারের শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, কয়েক জন শ্রমিক নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। সেই ভিডিও দেখিয়ে বিজেপি নেতা প্রশান্ত উমরাও দাবি করেছিলেন, তামিলনাড়়ুতে বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা সুরক্ষিত নন। সেখানে নির্বিচারে তাঁদের হত্যা করা হচ্ছে। টুইটারে লেখেন, “হিন্দি ভাষায় কথা বলার জন্য বিহারের ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে বিহারে।” হোয়াটসঅ্যাপেও এ ধরনের মেসেজ চালাচালি হয়েছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসতেই গ্রেফতার করা হয় প্রশান্তকে।
এপ্রসঙ্গে তামিলনাড়ু পুলিশের তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে, “একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছিল, যেথানে তামিলনাড়ুতে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলার ভিডিও। কোয়াম্বাটুরে স্থানীয়দের অশান্তির ভিডিও পোস্ট করে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। এধরনের সমস্ত খবর মিথ্যে ও গুজব। তামিলনাড়ু শান্তিপূর্ণ এলাকা। এখানে সকলেই সুরক্ষিত।” শুধু বিজেপি নেতা নন, সেখানকার একটি সংবাদপত্রের কর্মীকেও ভুয়ো খবরের ছড়ানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন এ নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। “গুজব ছড়িয়ে ভারতের ঐক্যকে ভাঙার চেষ্টা। তামিলনাড়ুতে সকলে সুরক্ষিত”, স্পষ্ট জানান স্ট্যালিন।