ম্যাচ গড়াল না তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি অবধিও। দু’দিন এবং একটি সেশনেই শেষ হয়ে গেল ইন্দোর টেস্ট। স্বাভাবিকভাবেই এমন পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রথম দিন থেকে পিচ স্পিনারদের পক্ষে ছিল। এবার এই পিচকে ‘খারাপ’ তকমা দিল আইসিসি। ইনদোর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা প্রথম দিনেই ভারতীয় ব্যাটারদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিলেন। ম্যাট কুহনেমান একাই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। স্বস্তি দেননি নেথন লায়নও। ভারতীয় দলও দ্বিতীয় ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের দিয়েই আক্রমণ শুরু করেছিল। স্পিনারদের এই ভাবে সাহায্য পাওয়া ভাল চোখে দেখল না আইসিসি। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বলেন, “পিচ খুব শুষ্ক ছিল। ব্যাটার এবং বোলারদের জন্য সমান সাহায্য ছিল না। স্পিনাররা প্রথম থেকেই বাড়তি সুবিধা পাচ্ছিল।” প্রসঙ্গত, তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল ধরমশালাতে। কিন্তু সেখানে আবহাওয়া খেলার উপযোগী নয় বলে ইন্দোরে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। অল্প কিছু দিনের মধ্যে সেই নির্দেশ পাওয়ায় পিচ ঠিক ভাবে তৈরি করা যায়নি বলেও মনে করছেন অনেকে। ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় যদিও নিজে ওই পিচ বেছে নিয়েছিলেন। হোলকার স্টেডিয়ামের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রাবিড়কে তিনটি পিচ দেখানো হয়েছিল। নিজের পছন্দের পিচ বেছে নেন তিনি।
এবিষয়ে সেই আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘মাঠে তিনটি পিচ দেখানো হয়েছিল দ্রাবিড়কে। একটি পিচ পুরো পাটা। ব্যাটারদের স্বর্গ ছিল সেই পিচ। তার পাশের পিচ ছিল অনেকটা নাগপুরের মতো। পিচের কোনও কোনও জায়গা শুকনো ছিল। তৃতীয় পিচটা ছিল পুরো শুকনো। দ্রাবিড় সেই তৃতীয় পিচটাই বেছে নিয়েছিলেন।’’ ভারতের পরের ম্যাচ আহমেদাবাদে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে সেই ম্যাচ জিততে হবে। রোহিত তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে বলেছিলেন যে, ইন্দোর টেস্ট জিতলে আহমেদাবাদে সবুজ পিচে খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন সেটা হবে বলে মনে করা হচ্ছে না। “আমরা এই ধরনের পিচেই খেলতে চেয়েছিলাম। কারণ, আমাদের শক্তি স্পিন বোলিং। বিদেশ সফরের সময় ওরাও নিজেদের শক্তি অনুযায়ী পিচ তৈরি করে। আমি বুঝতে পারছি না কেন ভারতেই শুধু পিচ নিয়ে এত কথা হয়! আমরা জানতাম, এই ধরনের পিচে ব্যাট করা কঠিন। তার পরেও আমরা খেলতে চেয়েছি”, ম্যাচ শেষ জানান ভারত অধিনায়ক।