বিতর্কে ভরপুর হয়ে রইল শুক্রবারের ফুটবল-সন্ধে। অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী রইল আইএসএল। প্রথম নকআউটে অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলার সময় দল তুলে নিল কেরল ব্লাস্টার্স। অভিযোগ, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই ফ্রিকিক থেকে শট নেন সুনীল ছেত্রী। সেই গোলে বেঙ্গালুরু এফসি এগিয়ে যেতেই মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কেরলের ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা। এই ঘটনা ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম বার কোনও দল খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ল। শুক্রবার বেঙ্গালুরু এবং কেরলের মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রথম নকআউট ম্যাচ শেষ হল চরম বিতর্কের মধ্যে দিয়ে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। ৯৭ মিনিটে বক্সের বাইরে সুনীলকে কেরলের এক ফুটবলার ফাউল করায় ফ্রিকিক দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। কেরলের গোলরক্ষক, ফুটবলাররা প্রস্তুত হওয়ার আগেই শট মারেন সুনীল। রেফারিও গোল দিয়ে দেন। কেরলের ফুটবলাররা অভিযোগ করেন, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই সুনীল শট নিয়েছেন। তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। তাই গোল বাতিল করতে হবে। কিন্তু তাঁদের আবেদনে রেফারি কান দেননি একেবারেই।
এরপর স্বভাবতই শুরু হয় বাদানুবাদ। রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ করেন কেরল ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করায় কোচ ইভান ভুকোমানভিচের নির্দেশে মাঠ ছাড়েন কেরল ফুটবলাররা। চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলেও খুশি হননি তিনি। ক্ষুব্ধ কেরল কোচ মাঠে ঢুকে দল তুলে নেন। রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে কেরল শিবির। যদিও সেই বিতর্কিত গোলেই সুনীলরা পৌঁছে গেলেন প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। এর আগে ২০১৫ সালের আইএসএলে একটি ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এফসি গোয়া খেলার শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন। কিন্তু, ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। সেই হিসাবে শুক্রবারের এই ঘটনা ব্যতিক্রমী। ফুটবলের আধুনিক নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ ফাউলের ক্ষেত্রে দ্রুত খেলা শুরু জন্য রেফারির বাঁশির অপেক্ষা না করেও ফ্রিকিক নেওয়া যায়। তবে, রেফারি কাউকে কার্ড দেখালে তাঁর বাঁশির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সুনীলকে ফাউলের ক্ষেত্রে রেফারি কাউকে কার্ড দেখাননি। যদিও কেরল শিবির এই যুক্তি মানতে নারাজ। কেরল দল তুলে নেওয়ার পর ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে রেফারি জয়ী ঘোষণা করেন বেঙ্গালুরু এফসিকেই।