বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জমিতেই শিল্পের ‘অঙ্কুরোদগম’-র পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওরকম জমিতে শিল্পপার্ক বা ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের কারখানা গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে সাতটি জেলার (পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়া) জেলাশাসকদের অকৃষিকাজে ব্যবহৃত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিল্প পর্ষদ। ওই সাতটি জেলার মধ্যে দিয়ে প্রস্তাবিত শিল্প করিডর যাবে।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের ১৬৬ একর জমিতে একটি শিল্পপার্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী মমতা সরকার। ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে।
রূপনারায়ণপুরে হিন্দুস্তান কেবলসের ৫৪১ একর জমি আছে। সেখানেও শিল্পপার্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আশাবাদী রাজ্য সরকার।
দুর্গাপুরে মাইনিং অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশনের ১৯৩ একর জমিতে শিল্পপার্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে ঢাকেশ্বরী কটন মিলের ১৯১.০৬ একর জমি হাতে এসে গিয়েছে রাজ্যের। যে জমি অধিগ্রহণ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। ওই জমিতেও একটি শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হবে।
পশ্চিম বর্ধমানের মঙ্গলপুরে আবার রাজ্যের হাতে ৮১.০৪ একর জমি আছে।
সূত্রের খবর, সাইকেল কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের মতো সংস্থারও প্রচুর অব্যবহৃত জমি পড়ে আছে। যেখানে শিল্পপার্ক গড়ে তুলে অর্থনীতিতে বাড়তি ‘বুস্টার ডোজ’ প্রদানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলেও সংশ্লিষ্ট মহলের মত।