সম্প্রতি প্রসার ভারতীর তরফে জানানো হয়, কেবলমাত্র আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিন্দুস্তান সমাচার থেকেই খবর সংগ্রহ করবে তারা। যা নিয়ে মধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশকে উত্তর কোরিয়ার মতো পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে এবার সাফাই গাইল প্রসার ভারতী।
একটি বিবৃতি জারি করে স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকেই প্রসার ভারতীর সঙ্গে যুক্ত আছে হিন্দুস্তান সমাচার। তাছাড়াও এই সংবাদসংস্থা মোট ১১টি ভারতীয় ভাষায় খবর সংগ্রহ করতে পারে। অন্যদিকে মাত্র দু-তিনটি ভাষায় খবর সংগ্রহ করে পিটিআই। শুধুমাত্র সেই কারণেই পিটিআইয়ের পরিবর্তে হিন্দুস্তান সমাচার থেকে খবর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও এই সংবাদসংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক বিজ্ঞাপনও পেয়েছে প্রসার ভারতী।
তবে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন আধিকারিকদের অনুমান, এই বিষয়টি একেবারেই আকস্মিক নয়। ২০১৭ সাল থেকে প্রসার ভারতীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হিন্দুস্তান সমাচার। সেই সময় থেকেই পিটিআইকে সরিয়ে আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংস্থার সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা ছিল। অজুহাত হিসাবে বেশ কিছু কারণের উল্লেখ করলেও গোটা বিষয়টিই পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারির। অন্যদিকে, প্রসার ভারতীর এহেন পদক্ষপের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ, প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার বলেন, ‘এবার একসঙ্গে মিশে যাবে প্রসার ভারতী ও বিজেপি।’ দেশকে কি উত্তর কোরিয়ার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া হবে? প্রশ্ন তেলেঙ্গানা যুব কংগ্রেসের।