মোদী-জমানায় ক্রমশই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে আমজনতা। এবার ফের প্রকাশ্যে এল তেমনই চিত্র। দিন দুই আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটারি পলিসি কমিটির সদস্য জয়ন্ত আর বর্মা। তাঁর সেই পূর্বাভাসই যেন সত্যি হচ্ছে। আরও শ্লথ হয়ে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। নাও পূরণ হতে পারে জিডিপি বৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৪.৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের এই বৃদ্ধির হার আগের ত্রৈমাসিকের থেকে অনেকটাই কম। এর আগে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৩ মাসের ব্যবধানে প্রায় ২ শতাংশ কমে গেল বৃদ্ধির হার।
যদিও মোদী সরকার জানাচ্ছে, মূলত উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ধাক্কা খাওয়াতেই জিডিপির এই দুর্দশা। এদিন তারা দাবি করেছে, সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার কমলেও সার্বিকভাবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থাকবে। এর আগে বছরের শুরুতেও এই একই পূর্বাভাস দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে রিজার্ভ ব্যাংক চলতি বছরের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের থেকে কমিয়ে ৬.৮ শতাংশ করেছে। একইভাবে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারও জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৬.৮ শতাংশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি বছর ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার উপরের দিকেই থাকবে। তবে আগামী বছর সেটা অনেকটাই কমবে। অর্থাৎ আগামী বছর মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে পারে দেশবাসী। যদিও সেটাকে বিশেষ ইতিবাচক লক্ষণ বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ইএমআইয়ের চাপে সাধারণ নাগরিকের হাতে টাকার পরিমাণ কমা শুরু করবে। ফলে বাজারে হ্রাস পাবে চাহিদা।