আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গে ১১,০২৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মমতা সরকার। তার ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১.২৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনার আওতায় উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় ইথানল, আসবাবপত্র, বেকারি, সিমেন্ট-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে। মালদা শিল্পপার্ক, কালিম্পঙে শিল্পীহাট, রায়গঞ্জে বস্ত্রের হাট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) সহায়তায় উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্প সংক্রান্ত কনক্লেভের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একটি শিল্পপার্কে ৩,৫২৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। সেইসঙ্গে পর্যটন ও চা শিল্পের জন্য আরও ৯৫০ কোটি টাকা লগ্নি করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
রাজ্য সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-র মাধ্যমে শিল্পের প্রসারে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের জেলা প্রশাসনের তরফে ৩২৮ একর সরকারি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। কোন গোষ্ঠীর হাতে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের পর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ১৩৭ একর জমিতে জয়গাঁও, এথেলবাড়ি, আমবাড়ি ফালাকাটা এবং ডাবগ্রামে চারটি শিল্পপার্ক গড়ে তুলবে পশ্চিমবঙ্গ ছোটো শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড।
কালিম্পঙে পাঁচ একর জমিতে বিশ্ব বাংলা শিল্প হাট গড়ে তোলা হবে। মালদায় ১৪ একর জমিতে একটি রেশম পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। যে রেশম পার্ক তৈরি হয়ে গেলে ২০০ কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা আছে। চাকরি হতে পারে ৪,০০০ মানুষের। সেইসঙ্গে রায়গঞ্জে ৩৪ একর জমিতে একটি বস্ত্রপার্ক গড়ে উঠছে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ইথানল, আসবাবপত্র, বেকারি, সিমেন্ট-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় (দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর) বিনিয়োগের অঙ্কটা ১,৮৪৩.৯৪ কোটি টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। তার ফলে ১.১১ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছে বাংলার সরকার।