সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। আর তারপর থেকেই যেন শনির দশা চলছে গৌতম আদানির সংস্থার। অন্যদিকে একটানা সম্পত্তি খুইয়ে ব্লুমবার্গের বিলিওনেয়ার ইনডেক্সে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় ৩০তম স্থানে নেমে এসেছেন আদানি। সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাতে জানা গিয়েছে, গত একমাসে ১২ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। কোনও ভারতীয় সংস্থার মূলধনে এমন ধস নজিরবিহীন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মূলধন ছিল ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। এর পরেই আমেরিকার আর্থিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসে। তারপর ১৯ লক্ষ কোটি থেকে ৭.২ লক্ষ কোটিতে এসে ঠেকেছে সংস্থার মূলধন। আদানি গোষ্ঠীর যে তিন সংস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি হল আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি ট্রান্সমিশন। গত একমাসে এই তিন সংস্থার শেয়ারে ৮০ শতাংশ পতন হয়েছে। অন্য সংস্থাগুলির শেয়ার দরও বিগত ৫২ সপ্তাহে সবচেয়ে নিচে। এর ফলে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি ডলার থেকে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এই কারণেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় ক্রমশ নিচে নামছেন ‘মোদি ঘনিষ্ঠ’ এই শিল্পপতি।