বাংলা ভেঙে যেমন পৃথক গোর্খাল্যান্ড তৈরির দাবি উঠেছে। তেমনি সাম্প্রতিক কালে নাগাল্যান্ড ভেঙেও পূর্ব-নাগাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবি তোলা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে গত সোমবার সে রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে নয়া পূর্ব-নাগাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবিকে ‘ন্যায্য’ বলে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়। নয়া রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনকারী ‘ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন’ (ইএনপিও)-কে শাহ এই প্রতিশ্রুতিও দেন, যে বিজেপি জোট ক্ষমতায় ফিরলে সমস্যার ‘ইতিবাচক সমাধান’ হবে। শাহের এমন মন্তব্যকে গোর্খাল্যান্ড পরিস্থিতির সঙ্গেই তুলনা করেছে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সম্পাদক রণজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘২০০৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে ধারাবাহিক ভাবে দার্জিলিং আসনটি জেতার জন্য ‘গোর্খাল্যান্ড তাস’ খেলেছে। নাগাল্যান্ডে এসেও শাহ একই খেলা খেলতে চাইছেন।’ কংগ্রেস নাগাল্যান্ড ভেঙে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবির বিরোধী জানিয়ে রণজিৎ বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী ইস্তাহারে জানিয়েছি, রাজ্যে ক্ষমতার শরিক হলে উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে পড়া পূর্ব নাগাল্যান্ডে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ওই অংশে মিনি সচিবালয় এবং উন্নয়ন বোর্ডের দফতর খোলা হবে।’
প্রসঙ্গত, মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব নাগাল্যান্ডের ৬টি জেলা— মন, তুয়েনসাং, কিফিরে, নোকলক, লংলেং এবং শামাতোরকে নিয়ে নতুন রাজ্য গড়ার দাবিতে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ওই এলাকায় বসবাসকারী ৭টি জনজাতি গোষ্ঠীর যুক্তমঞ্চ ইএনপিও। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে শাহ নয়া রাজ্য গড়ার দাবির ‘সারবত্তা’ স্বীকার করায় গোর্খাল্যান্ডের ছায়া দেখছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডে ভোট প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও বলেন, ‘রাজ্যে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির সরকার হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমতা আনা হবে।’