সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার বছর ঘুরলেই দরজায় কড়া নাড়বে লোকসভার নির্বাচন। সেই দুই নির্বাচনকে রীতিমত হাইটেক লড়াই হিসাবেই দেখছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দুই নির্বাচনের আগে জনসংযোগের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র খামতি রাখতে চায় না বাংলার শাসক দল। সেই লক্ষ্যেই তৃণমূলের তরফে বাংলায় চালু করা হয় দলীয় কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’।
সেই কর্মসূচি মেনে তৃণমূলের নেতানেত্রী থেকে সাংসদ ও বিধায়কেরা ‘দিদির দূত’হয়ে যাচ্ছেন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে। শুনছেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ, দাবি-দাওয়ার কথা। এতদিন সেই কর্মসূচি চলছিল রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায়। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই গ্রামবাংলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এবার শহরের মানুষদেরও অভাব-অভিযোগ, দাবি-দাওয়ার কথা শুনতে চাইছে জোড়াফুল নেতৃত্ব। আর তাই এবার ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিকে বাংলার পুরসভা এলাকাগুলিতেও চালু করতে চলেছে তৃণমূল। আর এর সূচনা ঘটতে চলেছে মেদিনীপুরের মাটি থেকেই।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগের মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কর্মসূচিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে মানুষের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে এবং দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন এবং রাত্রিবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের নেতৃত্বদের। প্রথম ধাপে গত ১১ জানুয়ারি থেকে তৃণমূল জেলা সভাপতি ও বিধায়করা বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করেছেন। অন্যান্য জেলার সাথে পূর্ব মেদিনীপুরেও ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি পালন করেছেন দলের বিধায়ক ও জেলা সভাপতিরা। দ্বিতীয় দফায় এদিন অর্থাৎ শনিবার থেকে ওই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে তমলুক সাংগঠনিক জেলায়। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি ও আসন্ন পঞ্চায়েত-পুরসভার নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। বৈঠকে দলের জেলা কমিটির সদস্য, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি ও শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতিরা ছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে সেই বৈঠকেই পুরসভা এলাকাতেও ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি শুরু করার বিষয়টি প্রথমবার দলের সামনে আনা হয়।
