প্রায় এক দশক ধরে ‘টিম রাহুল’-এর অন্যতম সদস্য তিনি। ২০২২ সালের মে মাস থেকে সামলাচ্ছেন নাগাল্যান্ডের এআইসিসি সম্পাদকের দায়িত্ব। যার ফলে গত ন’মাস ধরে নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমাতে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। কথা হচ্ছে রণজিৎ মুখোপাধ্যায়ের। বাবা প্রসূন মুখোপাধ্যায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। রাজ্য পুলিশেরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এ হেন পিতার পুত্র রণজিতের লক্ষ্য একটাই— উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় বারও ‘শূন্য’ পাওয়ার লজ্জা থেকে কংগ্রেসকে বাঁচানো। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডে বিধানসভা ভোট। গণনা ২ মার্চ।
সংবাদ মাধ্যমকে রণজিৎ জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার এবং নাগাল্যান্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে থেরি-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন এনডিপিপি (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি)-বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে ‘সমমনস্ক’ দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য আলোচনার দায়িত্বও পালন করতে হয়েছে। তাঁ কথায়, ‘পুরোপুরি না হলেও বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে আংশিক সাফল্য পেয়েছি আমরা। বেশ কিছু আসনে স্থানীয় শাসক জোটের বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীর মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে সে রাজ্যের ৬০টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে লড়ে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। অথচ, ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত টানা এক দশক সে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তারা। এবারের বিধানসভা ভোটে ২৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। রণজিৎ আশাবাদী, তার অন্তত কয়েকটিতে জয় আসবে। তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যেও বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গীরা টাকা আর পেশিশক্তির খেলা শুরু করেছে তবে আশার কথা একটাই— নাগা নাগরিক সংগঠনগুলি এ বার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সক্রিয় হয়েছে। টাকার খেলা বন্ধ করার জন্য প্রচারে নেমেছে। নাগাল্যান্ডে চার্চের পাশাপাশি নাগরিক সংগঠনগুলির আবেদনেও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।’