একশো দিনের কাজের খাতে বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তবে তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তাঁর দাবি, মনরেগা চাহিদা নির্ভর একটি কাজ। এই কাজে বরাদ্দ কমানো হয়নি।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একশো দিনের কাজে বাজেট বরাদ্দ কম করা হয়নি। এই প্রকল্প চাহিদা নির্ভর। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে এই প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিধি রয়েছে’। একশো দিনের কাজে আধারের মাধ্যমে মজুরি মেটানো বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় সরকার গত ৩০ জানুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আধারের মাধ্যমে মজুরি দেওয়া হবে।
যদিও মনরেগা সংঘর্ষ মোর্চার দাবি, এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হলে, ৫৭ শতাংশ শ্রমিক বাদ পড়বেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলন শুরু করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, একশো দিনের কাজের খরচ বহন করা উচিত রাজ্যগুলির। তাঁর মতে, আর্থিক দায়িত্ব বহন করলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যগুলি সজাগ হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের বাজেটে একশো দিনের কাজে বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে ১৭.৮ শতাংশ। গতবার বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সেই বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
একশো দিনের কাজে বকেয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্য। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য রাজ্যগুলির ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। এক সপ্তাহ আগে লোকসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
সৌগত রায়ের অভিযোগ, বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবার করার পরেও বকেয়া টাকা দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে একশো দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবি তোলেন তিনি। এর আগে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।