আদানি-ইস্যু নিয়ে দেশজুড়ে অব্যাহত তোলপাড়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে লগ্নি-গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়েছে আদানি-গোষ্ঠী। একের পর এক পতন ঘটেছে তাদের শেয়ারগুলির। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার তির ধেয়ে গিয়েছে মোদীর দিকেও। এবার এবিষয়ে সরব হলেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার ধনকুবের শিল্পপতি জর্জ সোরস। ‘‘আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতির (স্টক ম্যানিপুলেশন) অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ভারতের সংসদে জবাবদিহি করতে হবে’’, বক্তব্য তাঁর।
দেশের নামজাদা ধনকুবের গৌতম আদানির গোষ্ঠী কারচুপি করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলেছে আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বৃহস্পতিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ৯২ বছরের সোরস প্রশ্ন তোলেন, কেন আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মোদী এখনও নির্বিকার? তাঁর মতে, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। উল্লেখ্য, এর আগে মোদী সরকার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরেও তার বিরোধিতা করেছিলেন সোরস। ২০২০-র জানুয়ারিতে দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়। মোদীর হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর তাগিদ ভারতের গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’’ সে সময়ও পদ্মশিবিরের রোষের মুখে পড়েছিলেন সোরস।