ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। এবার ডিএ ইস্যুতে ফের তাদেরকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার জন্য ফের সরাসরি কেন্দ্র সরকারকেই বিঁধলেন তিনি। রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ শতাংশ হারে ডিএ ঘোষণা করেছে মমতার সরকার। কিন্তু সরকারি কর্মীরা তাতে সন্তুষ্ট নন। বকেয়া ডিএ না মেটালে আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সেই বিক্ষোভ নিয়ে বিশেষ কিছু না বললেও বাঁকুড়ার সরকারি সভা থেকে বলেন,”আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ আমরা দিয়েছে।”
পাশাপাশি, এদিনের সভা থেকে আরও একবার বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকারকে বিঁধেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার রাজ্য থেকে সব করের টাকা তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। অথচ, রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কেন্দ্রের সরকার গরিব মানুষকে দেবে না, সাধারণ মানুষকে দেবে না। সব আদার ব্যাপারীদের দেবে। বলে বাংলার বাড়ি হবে না। রাস্তা হবে না। যেন মনে হচ্ছে ওদের বাপের টাকা। এটা আমাদের টাকা। আমাদের এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। আর রাজ্যকেই টাকা দেয় না।” এছাড়া বিজেপির স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এদিন বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে যে বাঁকুড়ায় এদিন সভা করেছেন মমতা, সেই জেলার দু’জন সাংসদ বিজেপির। অধিকাংশ বিধায়ক বিজেপির। তাঁদের উদ্দেশ্যে মমতার কটাক্ষ, “ওরা কোকিলের মতো অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে। ভোটের সময় আসে। ভোট নেয়। ভোট শেষ হলে পালিয়ে যায়।” বাঁকুড়ার সভা থেকে মমতা বুঝিয়ে দেন, মানুষের প্রতি একমাত্র দায়বদ্ধ তিনি।