রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই নারী শিক্ষায় জোর দিতে “কন্যাশ্রী” প্রকল্প চালু করেন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাসিদিঃ অর্জন করেছে বিদেশেও। এসেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পুরস্কারও। এবার সেই ‘কন্যাশ্রী’ নিয়ে বাংলা ছবি হতে চলেছে। নাম ‘সুকন্যা’। পরিচালক উজ্জ্বল মিত্র। কেপি মুভিসের ব্যানারে ছবির প্রযোজক সমীর মণ্ডল জানালেন, ‘ছবিতে রয়েছে তিনটি প্রধান চরিত্র। প্রথম জন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এক মা ও মেয়ের গল্প, যে মাকে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু তাঁর সেই মেয়েই দিদির কন্যাশ্রী ভাতা পেয়ে আইপিএস অফিসার হয়।’
ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের পদবীতে মিল থাকলেও ছবিতে কনীনিকার নাম মায়া চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পকে সামনে রেখেই গল্প। কীভাবে মাটি থেকে লড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একজন নারী, সেই গল্পেই অভিনয় করছি। এছাড়াও দেখানো হয়েছে, কন্যাশ্রী কীভাবে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে এবং কী ভাবে কন্যাশ্রীর মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের সাধারণ মেয়েরা উঠে দাঁড়াতে পারছে।’
অভিনেত্রী আরও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এর আগে ‘বাঘিনী’ বলে একটা ছবি হয়েছিল। সেই ছবিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রের অফার আমার কাছেই প্রথমে এসেছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমি ডেট দিতে না পারায় বাঘিনী ছবিটা আর করা হয়নি। তার পর এই ‘সুকন্যা’ ছবির অফার যখন আসে, তখন প্রথমেই আমাকে বলে দেওয়া হয় দিদির চরিত্র। আমি রাজি হই। কারণ আমি ভবানীপুরের মেয়ে। আমি খুব ছোট থেকে দিদিকে দেখেছি আমাদের পাড়ায়। দিদিও এই চত্বরের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী হবার আগে থেকেই ওঁর লড়াই আমি দেখেছি। দিদি একদম সোজা কথা সোজা ভাবে বলেন, যেটা আমার খুব ভাল লাগে। তাই তাঁর চরিত্র করা তো জীবনের প্রাপ্তি।