ফের বিতর্কের কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজেপির শাসনকালে দেশে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি দিনমজুর। ২০১৯ থেকে ২০২১, মাত্র তিন বছরে দেশের ১.১২ লক্ষ দিনমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন। মোদী সরকারের শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব সোমবার লোকসভায় ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর এমন পরিসংখ্যানই সংসদে তুলে ধরেছেন। তবে কি মোদী আমলে দিনমজুরদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার? সরকার কি দিনমজুরদের জন্যে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়? স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে এমন প্রশ্ন। এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব কার্যত স্বীকার করলেন, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিন বছরে ১ লক্ষ ১২ হাজার দিনমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই পরিসংখ্যান অত্যন্ত আশঙ্কার বলেই মনে করছেন সমাজতত্ত্ববিদরা। ওই সময়কালের মধ্যে, ৬৬, ৯১২ গৃহবধূ, ৫৩,৬৬১ স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি, ৪৩,৪২০ জন বেতনভুক ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ অবলম্বন করেছেন। ২০১৯ থেকে ২১, অর্থাৎ তিন বছরের মধ্যে ৩৫,৯৫০ জন পড়ুয়া, কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত ৩১,৮৩৯ জন শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন। অসংগঠিত শ্রমিক সামাজিক নিরাপত্তা আইন ২০০৮ অনুসারে অসংগঠিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্ব সুবিধা, বার্ধক্য সুরক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর সরকার। আদৌ কি কেন্দ্র সরকারের সুযোগ-সুবিধা দিনমজুরদের কাছে পৌঁছচ্ছে? ঘনীভূত সংশয়। মোদী সরকার তরফে লাগাতার দাবি করা হয়, দিনমজুররা প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনায় সুবিধা পান। এতে সুযোগ সত্যিই যদি দিনমজুরারা পান, তবে কেন মোদী সরকারের আমলে তাদের আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে? সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। নেটমাধ্যমেও বইছে নিন্দার ঝড়।