মনে করা হচ্ছিল, বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণে আদানি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে টানা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ভাষণ দিলেও একবারের জন্যেও আদানিদের নাম মুখে আনলেন না তিনি। বস্তুত, দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মোদী ইউপিএ আমলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেন। বলেন, ইউপিএ আমলের ১০ বছরের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময়। রাহুল গান্ধীকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তিনি। তোপ দাগেন ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়েও। অথচ, ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের ভাষণে একবারও আদানির নাম মুখে আনেননি তিনি।
মোদী বক্তৃতা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে ‘আদানি আদানি’ রব শোনা গিয়েছিল। যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেসবে পাত্তা না দিয়ে নিজের পূর্বনির্ধারিত ভাষণই শুনিয়ে যান তিনি। মোদীর গোটা ভাষণে আদানি ইস্যুর অনুপস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খোঁজা দিয়েছে কংগ্রেস। খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অধিবেশনের শুরুতে মোদীকে ‘মৌনীবাবা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দিনের শেষে রাহুল গান্ধীকে বলতে শোনা গেল, প্রধানমন্ত্রীর এই জবাবে আমরা সন্তুষ্ট নই। উনি আদানিকে আড়াল করছেন। যদি আদানি প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু না হন, তাহলে সেটা প্রকাশ্যে বলা উচিত ছিল।