ঈশ্বর জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ করেননি, তা করেছেন পুরোহিতরা। বর্ণভেদ প্রথা নিয়ে বলতে গিয়ে এবার এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আর তাই এবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের এক আদালতে। অভিযোগ, পণ্ডিতদের নিয়ে মন্তব্য করে ব্রাহ্মণদের অপমান করেছেন ভাগবত।
গত রবিবার মুম্বইয়ের রবীন্দ্র নাট্য মন্দিরে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলে বসেন, ‘ভগবানের সামনে সকলেই মানুষ। তিনি জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ করেননি, তা করেছেন পুরোহিতরা।’ ভাগবত স্পষ্ট বলেন, ‘শাস্ত্রের নামে অনেক পণ্ডিত যা বলেন, তা আসলে মিথ্যা।’ তাঁর দাবি, ‘ক্ষমতা, সম্মানে সব মানুষই এক। কারও সঙ্গে কারও প্রভেদ নেই। অনেক পণ্ডিত শাস্ত্রের নামে যা বলে থাকেন, তা আসলে মিথ্যা। তাঁরাই মানুষে মানুষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভাগাভাগি করেন। জাতিভেদ প্রথা আমাদের বিপথে চালিত করে। আর যা এমন বিভ্রম তৈরি করে, তা দূরে সরিয়ে রাখাই ভাল।’
মোহন ভাগবতের ওই মন্তব্যের পরই জোর বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে সংঘপ্রধান জাতপাতের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ব্রাহ্মণদের অপমান করেছেন। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে শেষে আরএসএস-কে বিবৃতি জারি করে বলতে হয়, যে মোহন ভাগবত কোনওভাবেই ব্রাহ্মণদের অসম্মান করতে চাননি। তিনি ‘পণ্ডিত’ বলতে বুঝিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের, ব্রাহ্মণদের নয়। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। ভাগবতের মন্তব্যে ব্রাহ্মণদের একাংশ এতটাই খাপ্পা যে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলাই দায়ের করে দিলেন সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী। বিহারের মুজফফরপুরের একটি আদালতে মামলাটি দায়ের হয়েছে।