একদিন আগেই সামনে এসেছিল খবরটা। বলা হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা দিতে। তা দিতে না পারাতেই নাকি মণ্ডল সভাপতি পদ থেকে আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বিজেপির এক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন উত্তর কলকাতা শহরতলির উত্তম সাউ নামে এক বিজেপি নেতা। চিঠিও দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে। উওম সাউয়ের পর এবার নতুন বিতর্ক।
অভিযোগ, জেলার আর এক মণ্ডল সভাপতিকে সরে যেতে হল নেতাদের কূপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জন্য। পদ খুইয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এক বিজেপি নেত্রী। উত্তমের পর এবার এ ঘটনায় নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল পদ্ম শিবিরের।
সম্প্রতি উত্তর শহরতলি জেলার কার্যকারিণী বৈঠকেরই পরই ওই বিজেপি নেত্রীকে মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকেই এ কথা জানতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েন ওই বিজেপি নেত্রী। তবে তাঁর ক্ষোভ আসলে ক্ষোভ অন্য জায়গায়। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কুপ্রস্তাব পাচ্ছিলেন ফোনের মাধ্যমে। আর তা দিচ্ছিলেন জেলা সভাপতির খুব কাছের এক ব্যক্তি। যদিও এদিন তিনি নিজের মুখে তাঁর নাম নিতে চাননি। তাঁকে দমদমের এক উঠতি নেতার কাছে গিয়ে ‘কাজ’ করতেও বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু, তার প্রতিবাদ করায় ওই নেতা নাকি বলেছিলেন, ‘এসব বাদ দাও! একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এমনকী তাঁর আরও অভিযোগ তাঁর জায়গায় পদে যাঁকে আনা হয়েছে তিনি ‘অযোগ্য’। এ প্রসঙ্গে খানিক আশঙ্কার সুরেই তিনি বলেন, ‘ওর কাছ থেকেও নিশ্চয় কিছু চাওয়া হয়েছিল।’