রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসকরা। ছিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডেও। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব জেলা শাসকদের দু’টি বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। এক, সরকারের যেসব জমি বন-বাদার হয়ে পড়ে রয়েছে সেগুলিকে অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, শিল্প করার জন্য বেসরকারি জমি খুঁজতে হবে।
ধরা যাক, জঙ্গলমহলের কোনও একটি জায়গায় হয়তো ১০০ একর জমি নিয়ে রেখেছে কোনও শিল্প গোষ্ঠী। কিন্তু সেখানে শিল্প হওয়ার কোনও নামগন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই শিল্পগোষ্ঠীর কাছে জানতে চাওয়া হবে, কবে তারা প্রকল্প দাঁড় করাবে? না পারলে বলে দেওয়া হোক। সরকার বিকল্প বন্দোবস্ত করবে। কিন্তু ওভাবে জমিকে বেওয়ারিশ করে ফেলে রাখা যাবে না।
রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করেছে, শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে যদি শিল্পস্থাপন না হয়ে থাকে তাহলে তা মাটিসৃষ্টির কাজে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ সেই জমিকে চাষযোগ্য করার চেষ্টা করা হবে। তাছাড়া নবান্নের ভাবনার মধ্যে আরও একটা বিষয় রয়েছে। তা হল, ওইসব জমিতে পাট্টা বিলি করে গরিব মানুষের বাসস্থান করে দেওয়া।
জমি চিহ্নিত করার কাজে একটি বেসরকারি এজেন্সিকেও কাজে লাগানো হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেই সংস্থা রায়তি জমি ও খাস জমি খুঁজে রিপোর্ট দেবে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেছেন, চিহ্নিতকরণ হয়ে যাওয়ার পর রায়তি ও খাস জমিকে আগামী দিনে কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা ঠিক করবে নবান্ন।