ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে পদ্মশিবিরের অন্দরে। সম্প্রতিই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন সাংবাদিক সুমন কাঞ্জিলালের তৃণমূলে যোগদান প্রত্যাশিতই ছিল। কিছুদিন ধরেই তিনি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলতেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁকে বিশেষ দেখা যেত না। তৃণমূলে তাঁর যোগদান ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এমতাবস্থায় বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, অন্তত ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের আসতে চাইছেন। তবে তাদের আপাতত ওখানে থেকে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “যারা যারা বিজেপির পক্ষে বিবৃতি দেবেন জেনে রাখুন তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাদের আপাতত ওখানেই থাকতে হবে। তাদের বলা হয়েছে ওখানেই থাকুন। ১৩-এর নীচে নয় সংখ্যাটা। ওপরে কত সেটা জানাতে পারবেন অভিষেক। তারা বিজেপিতে থাকতে চান না। কারণ এলাকাতে তারা সেই স্পন্দনটা অনুভব করছেন। এলাকার মানুষ চাইছেন না বিজেপিকে। তাদের জনপ্রতিনিধিরা বুঝতে পারছেন মানুষের সঙ্গে থাকাটাই ভালো। শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বলা হয়েছে আপনারা ওখানেই থাকুন। কেউ দিলীপ বাবুর সঙ্গে থাকুন, কেউ শুভেন্দুর সঙ্গে থাকুন, কেউ সুকান্তর সঙ্গে থাকুন। বৈঠকগুলিতে থাকুন। যা যা ঘটবে সব আমাদের জানাতে থাকুন। সময় অনুসারে ধাপে ধাপে তাদের তৃণমূলে আনা হবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভিত যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে সেই উত্তরবঙ্গেই এবার বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে তৃণমূল। একেবারে বিধায়ক, সাংসদ মিলিয়ে ১৩জনের কথা উল্লেখ করলেন কুণাল, যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চাইছেন। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রবল চাপে পড়েছে গেরুয়া-নেতৃত্ব।