গত বুধবার আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাঁদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত পড়ছে আদানিদের শেয়ারের দর। গত এক সপ্তাহে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় এই শিল্পগোষ্ঠী। এমনকী বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনেই নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া (এফপিও) বাতিল করে দেয় আদানি গোষ্ঠী। ২০ হাজার কোটি টাকার ওই এফপিও বাতিলের পর তাদের শেয়ারের দর আরও নেমে গিয়েছে।
গত এক সপ্তাহে সব মিলিয়ে আদানিদের ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া। প্রায় ৮ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে গৌতম আদানির সংস্থার। এফপিও বাতিলের পর বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান বলছে, নতুন করে শুধু আদানি গোষ্ঠীর মূল সংস্থা ‘আদানি এন্টারপ্রাইসেস’-এর শেয়ারের দর পড়েছে ১০ শতাংশ। একই ভাবে আদানি গোষ্ঠীর অন্য সংস্থাগুলির শেয়ারের দামও বৃহস্পতিবার কমেছে অনেকটা। ‘আদানি টোটাল গ্যাস’, ‘আদানি পোর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ইকোনমিক জ়োন’, ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’ এবং ‘আদানি ট্রান্সমিশন’-এর শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ করে কমেছে। ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি, শেষ ৯ দিনে এই সংস্থাগুলির শেয়ারের দর কমেছে যথাক্রমে ৫১ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ, ৪০ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশ। ‘আদানি পাওয়ার’ এবং ‘আদানি উইলমার’-এর শেয়ারের দাম বৃহস্পতিবার নতুন করে পড়েছে ৫ শতাংশ করে। গত ৯ দিনে তাদের শেয়ারের দাম কমেছিল ২৩ শতাংশ করে।