মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে বাংলাকে বঞ্চনা করার অভিযোগ। এবার ফের প্রকট হয়ে উঠল তেমনই দৃষ্টান্ত। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল গোটা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আবাস যোজনার পর আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মিড ডে মিলের খাবারের গুণগতমান-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য বুধবার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের শুকনাতোর গ্রামে প্রবেশ করে। আর তখনই একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় চার সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীর অভিযোগ একশো দিনের প্রকল্পের টাকা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। একশো দিনের কাজের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার মহিলারা। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা। তাতে বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
প্রসঙ্গত, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মেদিনীপুরে আসেন ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম। চার সদস্যের এই প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ বুধবার দুপুরে গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের একাধিক এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। গ্রামের এক মহিলা মানসুরা বিবি বলেন, “আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেছি। অথচ একটা টাকাও পাইনি। কেন আমরা টাকা পাব না? সেটা জানাতে হবে। তাই আজকে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।” আর এক গ্রামের মহিলা বলেন, “অনেকদিন ধরে টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। একশো দিনের কাজের টাকা আমরা পাচ্ছি না। তাই আজকে আমরা বিক্ষোভ দেখালাম।” কিছুদিন আগে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টাকা আটকে রাখলে আগামী দিনে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এবার ঘটল তেমনই ঘটনা।