ক্ষমতায় আসার পর রেলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে মোদী সরকার। এ নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছে বিতর্ক। তবে এখনও মেলেনি কোনও সুরাহা। বয়স্কদের জন্য রেলের ভাড়ায় ছাড় ফেরানো নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র। আগামী বুধবার পেশ হতে চলেছে সাধারণ বাজেট। সেখানে কি ঘোষণা হবে বয়স্কদের ছাড় নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠেছে এমনটাই। কিছু মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রেলের একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ১ জুলাই থেকে ফিরছে রেলে ছাড়। যদিও রেল বোর্ডের কর্তাদের দাবি, এমন কোনও বিজ্ঞপ্তিই জারি হয়নি৷ ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ফের মাথাচাড়া দেয়। ছাড় তুলে নেওয়ায় রেল মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে প্রবল অসন্তুষ্ট ছিলেন যাত্রীরা। তবে কেন্দ্রের ঘোষণা ছিল, বিশেষভাবে সক্ষম, পড়ুয়া ও রোগীদের ছাড় থাকছে আগের মতোই।
প্রসঙ্গত, করোনার ধাক্কায় কাবু হয়েছে দেশের অর্থনীতি। ক্ষতির মুখে পড়েছে রেলও। করোনাকালে স্পেশ্যাল ট্রেন চালু হলেও তুলে দেওয়া হয় সব রকম ছাড়। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫৮ বছর ও পুরুষদের ৬০ বছর বয়স হলে ভাড়ায় ছাড় পাওয়া যায়। মহিলারা পান ৫০ শতাংশ ছাড়, পুরুষরা পান ৪০ শতাংশ ছাড়। উল্লেখ্য, রেল মন্ত্রকের ছাড় তুলে দেবার সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। সরব হয় বিরোধী দলগুলি। ভারতীয় রেলের সমস্ত ট্রেনে বয়স্ক নাগরিকদের করোনা অতিমারীর আগে রেলের ভাড়ায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হত। ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষ আর ৫৮ বছরের বেশি মহিলাদের রেলওয়ের বয়স্ক নাগরিক শ্রেণিতে রাখা হত। করোনা সময়ের আগে পর্যন্ত রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত সমেত সমস্ত মেল এক্সপ্রেস ট্রেনে পুরুষদের বেস বেয়ারে ৪০ শতাংশ আর মহিলাদের বেস ফেয়ারে ৫০ শতাংশের ছাড় দেওয়া হত। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। ধীরে ধীরে সমস্ত কিছুই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যে কারণে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফে রেল চলাচলও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনার আগে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সের পুরুষ যাত্রী টিকিটের দামে ৪০ শতাংশ ছাড়া পেতেন। পাশাপাশি, ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন ৫৮ বছরের বেশি বয়সের মহিলারা।
