সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পর আচমকাই সপরিবারে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ওই নেতার দুই সন্তানই একটি বিরল জেনেটিক রোগে ভুগছিল। আর তাদের নিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নেতা ও তাঁর স্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশের বিদিশার এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, সালফাস ট্যাবলেট খেয়ে তাঁরা আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেন। ৪৫ বছর বয়সী প্রয়াত বিজেপি নেতা সঞ্জীব মিশ্র ছিলেন এলাকার বিজেপি কর্পোরেটর ও বিদিশা নগর মণ্ডলে বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেসেজ করেন। সেখানে লেখা ছিল, ঈশ্বর যেন তাঁর শত্রুর সন্তানকেও দুরারোগ্য সমস্যা না দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট পড়ার পরই তাঁর পরিচিতরা সঞ্জীবের বান্টি কলোনির বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন , গোটা পরিবারের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সঞ্জীবের দুই সন্তান ও স্ত্রী নীলমের দেহও সঞ্জীবের মতোই সেখানে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই মৃতদেহ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানেই জানা যায়, চিকিৎসা শুরুর সময়ই গোটা পরিবারের সদস্যরা মৃত।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রয়াত ওই বিজেপি নেতার দুই ছেলেই একটি বিরল জিনগত সমস্যায় ভুগছিল। যা কোনও দিনওই সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে মামলা দায়ের হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।