২০২৩-এর মে মাসেই মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলন। সেই বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো এবং চীনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে গোয়ায় এ সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণপত্র দেওয়ার একদিন পরে এই খবর জানা গিয়েছে। নির্ধারিত পদ্ধতির অংশ হিসাবে আমন্ত্রণগুলি পাঠানো হয়েছিল। তবে বিলাওয়াল ভুট্টো এবং কিন গ্যাং অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা,।তা নিশ্চিত করা হয়নি। যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অথবা বিদেশমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ২০১১ সালের পর এটিই হবে ইসলামাবাদ থেকে ভারতে এই ধরনের প্রথম সফর। সেই বছর ভারত সফর করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের যুদ্ধবিমানগুলি পাকিস্তানের বালাকোটে একটি জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাস প্রশিক্ষণ শিবিরে আঘাত করার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক গুরুতর চাপে পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার এবং পূর্ববর্তী রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা করার পরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ভারত আট দেশের এসসিও-র বর্তমান সভাপতি। এই বছরের শেষের দিকে গোয়ায় এসসিও-ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ভারত গত সেপ্টেম্বরে নয়-সদস্যের এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গোয়াতে মূল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। এসসিওতে চীন, রাশিয়া, কাজাখাস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানও রয়েছে। মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে চীন ও রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীদেরও।