প্রকাশ্যে এল লাল-হলুদ শিবিরের অন্দরমহলের অশান্তি। আজ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আইএসএলের ম্যাচ খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। আর বুধবার গোয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন দাবি করলেন, এক জন ফুটবলারকেও তিনি সই করাননি! যা ঘিরে দলের ভিতরেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। আইএসএলে অভিষেকের মরসুমে নবম স্থানে শেষ করেছিল লাল-হলুদবাহিনী। গতবার ছিল সবার শেষে। এই মরসুমে ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ক্লেটন সিলভারা রয়েছেন নবম স্থানে। আগের ম্যাচে যুবভারতীতে হায়দ্রাবাদ এফসির কাছে হারের পর থেকেই লাল-হলুদ সমর্থকরা কোচকে সরানোর দাবিতে সরব। এই কারণেই কি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে প্রথা মতো কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকই করলেন না স্টিভন? তেমনটাই অনুমান করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, এদিন গোয়ায় সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার জন্য তিনি দায়ী নন। লাল-হলুদের কোচ বলেছেন, ‘‘আমি কতটা হতাশ, তা বোঝাতে পারব না। জানুয়ারি মাসে আমি তিন-চার জন ফুটবলারকে বেছে নিয়েছিলাম নেওয়ার জন্য। কিন্তু কাউকে সই করাতে পারিনি। সকলের জানা উচিত, এই দলের এক জন ফুটবলারকেও আমি সই করাইনি। যদি আমি এই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতাম, তা হলে ফিফার নির্বাসন থেকে দলকে মুক্ত করে নতুন ফুটবলারদের সই করাতাম।’’ পাশাপাশি, বুধবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইরানের ফুটবলার ওমিদ সিংহের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ক্লাব কর্তারা। ফিফা নির্বাসন প্রত্যাহারকরে নিলেই সই করানো হবে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার জাক জার্ভিসকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ইস্টবেঙ্গলের দল গঠন তা হলে কীভাবে হয়েছে? কোচের পরামর্শ ছাড়াই কি ফুটবলার নেওয়া হয়েছে? লাল-হলুদ তাঁবুর অন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ইভান গঞ্জালেস ছাড়া বাকি পাঁচ বিদেশিকেই নেওয়া হয়েছে স্টিভনের পরামর্শে। সুমিত পাসি-সহ ভারতীয় ফুটবলারদের অধিকাংশকে সই করানো হয় তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে। ফলত ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক। ক্ষোভ দানা বাঁধছে সমর্থকদের মনেও।