ফের মোদী সরকারকে কড়া সমালোচনায় বিঁধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন, “সরকার প্রচারবিমুখ হবে, না নিজের কাজের কথা তুলে ধরবে প্রতিটি পদক্ষেপে?” উল্লেখ্য, করোনা পর্বে একাধিক বার মমতার মুখে শোনা গিয়েছিল এণন বক্তব্য। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার থেকে নাম না করে মোদীর প্রসঙ্গ টেনে মমতা আরও এক বার সেই বিতর্ক উসকে দিলেন। মমতার বক্তব্য, এ বার থেকে মৃত্যুর শংসাপত্রেও মোদীর ছবি থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, করোনার টিকা নেওয়ার শংসাপত্রে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখের ছবি রয়েছে। বছর দেড়েক আগে করোনা পর্বে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, টিকার শংসাপত্রকে প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করার কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। গত বছরের ডিসেম্বরে জি২০ সম্মেলনের প্রতীকচিহ্ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। ওই প্রতীকে ছিল পদ্মফুলের ছবি। যা বিজেপির দলীয় প্রতীকও বটে। ‘‘প্রতীকে পদ্মফুলই ব্যবহার করা হল কেন? ভারতের সংস্কৃতি বোঝানোর আর কোনও উপায় কি ছিল না?’’ এমন প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছিলেন মমতা।
পাশাপাশি, তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, ওই প্রতীক দেখলেও তিনি চুপ করেই থেকেছেন। কারণ, তিনি মনে করেন, এই ধরনের আলোচনা আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের সম্মানহানি করতে পারে। এর পর বৃহস্পতিবার আবার ছবি-বিতর্ক খুঁচিয়ে দিলেন মমতা। এ বারে নাম না করে মোদীকে নিশানা করেছেন তিনি। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতা বলেছেন, ‘‘সব জায়গায় একটা মুখ। উনি রেশন দিয়েছেন, উনি খেতে দিয়েছেন। মৃত্যু হলেও ওঁর মুখটা থাকা উচিত।’’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ‘‘উনি মেরে দিয়েছেন। কোভিড দিয়েছেন। নোটবন্দি দিয়েছেন। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। কত কী দিয়েছেন!’’ কটাক্ষ মমতার।