নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হতেই হিংসা ছড়াল বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায়। ঘটল খুনের ঘটনা। তিপ্রা মথার সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। যার জেরে প্রবল তোলপাড় ছড়িয়েছে সে রাজ্যে। অভিযোগের আঙুল উঠছে শাসকদল বিজেপির দিকে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন। শোকপ্রকাশ করেছেন তিপ্রা নেতা প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ প্রনজিৎ নমঃশূদ্র (৪৪) নামে এক ব্যক্তি খুনের ঘটনায় বামনছড়া গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটে কমলপুর থানার বামনছড়া পঞ্চায়েতের যোগেশ নমঃশূদ্র পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কমলপুর থানার পুলিশ ও বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী। প্রনজিৎ নমঃশূদ্র সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম বামনছড়া অঞ্চলের নেতা ছিলেন। তিনি সাতমাস আগে তিপ্রা দলে যোগদান করে দলীয় কাজকর্ম শুরু করেন। তিপ্রা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
বুধবার রাত ন’টা নাগাদ প্রনজিৎ তাঁর গাড়ি নিয়ে দুর্গা চৌমুহনি বাজার থেকে বামনছড়া পঞ্চায়েতের যোগেশ নমঃশুদ্রর পাড়ায় আসতেই হামলা চালায় সাত-আটজন দুষ্কৃতী। গাড়ি থামিয়ে ভাঙচুর করে প্রনজিৎকে দা দিয়ে কোপায় তারা। পরে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর কমলপুর থানার পুলিশ এসে ক্ষতবিক্ষত প্রনজিৎকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী কমলপুর বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে না নিয়ে কুলাই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর কুলাই হাসপাতালে পৌঁছয় তারা। পরে আবার তাঁকে কমলপুর বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রনজিতের দেহ নিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসকের মধ্যে নাটক শুরু হয়। দায়ের কোপে প্রনজিতের মাথার বিভিন্ন স্থানে মগজের অংশ বেরিয়ে আহস। রাত ১১টা নাগাদ বিমল সিংহ মেমোরিয়ালের তাঁর দেহ আনা হলে তার পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে।