হাতে রয়েছে আর মাত্র আড়াই মাস। আর তার মধ্যেই শেষ করতে হবে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি বানানোর কাজ। কিন্তু এত বাড়ি বানানোর জন্য প্রয়োজন হাজার হাজার রাজমিস্ত্রির। তাই রাজ্যে দ্রুত শুরু হবে রাজমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ শিবির। কেন্দ্রীয় সরকারের যে রুরাল ম্যাশন ট্রেনিং প্রকল্প রয়েছে, তার আওতাতেই রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই রাজমিস্ত্রি তৈরির প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হবে। যে ছ’সাতটি সংস্থা এই প্রশিক্ষণ দেয়, তাদের সঙ্গে সম্প্রতি একটি বৈঠক করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা। তাদের প্রতি জেলায় দ্রুত এই মিস্ত্রি প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সবই আটকে রয়েছে টাকায়। কেন্দ্রের টাকা না এলে কাজ পুরোপুরি শুরু করা যাচ্ছে না।
নবান্ন সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল নাগাদই রুরাল ম্যাশন ট্রেনিং প্রকল্পে রাজ্যকে ৪০ হাজার রাজমিস্ত্রি তৈরি করতে বলে কেন্দ্র। কিন্তু আবাস যোজনায় টাকা না আসায়, প্রকল্পে তেমন গতি ছিল না। কিন্তু এখন ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরি হবে রাজ্যে। তা তৈরি করতেই বিপুল লোকের দরকার। যাঁরা কিনা ওই অল্প খরচের বাড়ি তৈরিতে প্রশিক্ষিত থাকবেন। ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট মিলবে। তাছাড়া যাঁরা ইতিমধ্যেই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে ৯ দিনের প্রশিক্ষণ। বাড়ি পিছু কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত অর্থে কীভাবে ঘর বানানো যায়, তা তাঁদের শেখানো হবে। জেলা প্রশাসনের কাজ ট্রেনি জোগাড় করা। আর ওই সংস্থার লোকেরা প্রশিক্ষণ দেবেন। ২০-৩০ জনকে নিয়ে একেকটি ব্যাচ হবে।
