ডিসেম্বরে বড় ধমাকার কথা শুনিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছু হয়নি। তবে এবার নতুন বছরে বড় ধমাকার জন্য তাল ঠুকছে তৃণমূল। এবার জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে সভা করতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই সভায় বড় চমক অপেক্ষা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই সভাতে বিজেপির ঘরে বড় ফাটল ধরতে পারে। তার সলতে পাকানোও নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কি ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের কোনও হেভিওয়েট যোগ দেবেন তৃণমূলে?
সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। এদিকে উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় এখনও বিজেপির ভিত কিছুটা শক্তপোক্ত রয়েছে। তবে কি সেই ভিতে চিড় ধরাতে এবার সচেষ্ট তৃণমূল শিবির। তবে ঠিক কারা তৃণমূলে যেতে পারে তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। তবে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে বিজেপি, তৃণমূল উভয় শিবিরই ঘর গোছাতে শুরু করেছে। তবে তৃণমূলের সেই উদ্যোগে নিঃসন্দেহে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে অভিষেকের সভা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সূত্রের খবর, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করতে পারেন অভিষেক। সেই সময় এক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। তিনি নাকি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসেও দেখা করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে কি কথাবার্তা ঠিকঠাক এগোলে তিনি যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে? তবে এনিয়ে দলের তরফে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরে সভা করার কথা রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এনিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরেই চর্চা জোর কদমে। ঠিক কে বা কারা তৃণমূলের সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ রাখছেন তা নিয়েও চর্চা একেবারে তুঙ্গে। বিরোধী শিবিরের অন্দরেও তৈরি হয়েছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ।